Latest News
Daily Morning News 23.06.2020
গ্রামীণফোনের ওপর বিটিআরসি’র নতুন বিধিনিষেধ আরোপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের (জিপি) ওপর নতুন দুটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
রোববার বিটিআরসি এসব বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটরকে উল্লেখযোগ্য বাজার শক্তি (এসএমপি) ঘোষণা করার ১৬ মাস পর এ নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ অনুসারে, জিপি’র জন্য মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) লক-ইন সময়কাল ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও কোনো প্যাকেজ বা অফার প্রদান করার আগে বিটিআরসি থেকে আগেই অনুমোদন নিতে হবে গ্রামীণফোনকে। বিধিনিষেধের অধীনে এখন বিদ্যমান বিভিন্ন পরিষেবা, প্যাকেজ এবং অফারগুলোর জন্য ৩১ আগস্টের মধ্যে অনুমতি নিতে হবে। তবে নতুন অফার এবং প্যাকেজগুলোর জন্য এ নির্দেশনা কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া কোনো অফার বা পরিষেবা পরিবর্তন করতে পারবে না জিপি। এসকল নির্দেশনার কথা জানিয়ে রবিবার গ্রামীণফোনের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে বিটিআরসি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে কমিশন।
৬ কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি–মার্চ, ২০২০) প্রকাশ করেছে ৬ কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬১ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা।
তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৭ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৭ টাকা ২৩ পয়সা।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৪ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৬ টাকা ৩ পয়সা।
জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২২ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৫২ টাকা ৪৯ পয়সা (লোকসান), যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬০৭ টাকা ৭৭ পয়সা।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৬ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৩ টাকা ১৯ পয়সা।
রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৭ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ১৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
বেক্সিমকো গ্রুপের ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের ৪ কোম্পানি ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ৮৪ পয়সা।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৫ টাকা ৫১ পয়সা।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৬ টাকা ৪৮ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭০ টাকা ৯৯ পয়সা।
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো): চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা (রিস্টেটেড)। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৪২ পয়সা (রিস্টেটেড) ।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) বেক্সিমকো শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা (রিস্টেটেড)। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা (রিস্টেটেড)।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ২২ টাকা ৩৮ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬৯ টাকা ৪৬ পয়সা।
বেক্সিমকো সিনথেটিক্স: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৮১ পয়সা।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২.০৫ টাকা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ২.৫৩ ঢাকা।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ৯ পয়সা।
শাইনপুকুর সিরামিকস: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার প্রতি ৫ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা আয় হয়েছিল।
তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ১০ পয়সা।
শেয়ারনিউজ; ২২ জুন ২০২০
Daily Morning News 21.06.2020
সপ্তাহজুড়ে বেক্সিমকো ফার্মার ঝড়,পুঁজিবাজারে একাই একশ
লেনদেন খরার বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার তুমুল ঝড় যেন একই একশ অনেকটাই এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই লেনদেনের বড় অংশজুড়ে থাকছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের প্রায় ৯ শতাংশ নিজের দখলে নিয়ে গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ প্রতিষ্ঠান। আগের সপ্তাহেও মোট লেনদেনের ৯ শতাংশের ওপরে ছিল কোম্পানিটির দখলে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা বাজারটির মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পরিমাণ কমেছে ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমলেও শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মা। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে তালমিলাতে পারছে না। ফলে পুঁজিবাজারেও লেনদেন খরা কাটছে না। উল্টো প্রতিনিয়ত লেনদেন কমে খাদের কিনারে যাচ্ছে পুঁজিবাজার।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ১ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘বি’ গ্রুপের অবদান ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের অবদান দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৯টির। আর ২৮৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে পতন হয়েছে মূল্য সূচকের। এতে প্রায় দুইশ কোটি টাকার মতো হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৭৮ কোটি টাকা।
এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ কমেছে ৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১০ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মার পর গত সপ্তাহে সব থেকে বেশি লেনদেন হয় লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল ব্যাংক, রেকিট বেনকিজার, বাংলাদেশ সবমেরিন কেবলস, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো), সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, এক্সিম ব্যাংক এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
দেশে ভালো ব্যবসায়ী হওয়া ভালো নয়-এমসিসিআই
বাজেটে ২০২০-২১ প্রস্তাবিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ভালো ঋণগ্রহীতাদের প্রণোদনা তুলে নেয়ার সমালোচনা করে মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) মনে হচ্ছে সভাপতি নিহাদ কবির বলেছেন,মনে হচ্ছে দেশে ভালো ব্যবসায়ী হওয়া ভালো নয়।
এ সময় পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সাড়ে তিনশ কোম্পানির মধ্যে দুইশর অধিক কার্যকর কোম্পানি নয় বলেও মন্তব্য করেন এ কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার না কমিয়ে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো সঠিক হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২০ জুন) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সিপিডি বাজেট সংলাপ ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, সেটা ভালো উদ্যোগ। এটা আমাদের বহুদিনের দাবির ফল। আমরা আশাকরি এটা ধারাবাহিকভাবে আরও কমে আসবে। তবে এ ট্যাক্স রেট কমানোর কারণে যে বেনিফিট আমাদের পাওয়ার কথা ছিল, সেই বেনিফিট আমরা পাবো না।
তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে আমরা তার বিপক্ষে। এটা ভালো করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। গতকাল আর একটা খবর দেখে মনে হলো দেশে ভালো ব্যবসায়ী হওয়া ভালো নয়। শুধু এই সুযোগটা (কালো টাকা সাদা করা) দেয়া হয়েছে সেটা নয়, যারা ভালো ঋণগ্রহীতা তাদের ১০ শতাংশ রেয়াতে একটা সুবিধা দেয়া হয়েছিল, সেটাও বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়েছে।
‘ভালোভাবে ব্যবসা করার ইনসেনটিভ সরিয়ে নিয়ে, এই ইনসেনটিভগুলো (কালো টাকা সাদা করা) আনা হয়, তাহলে এটাকে আমরা নেতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছি। এর আগে এটাও দেখেছি ব্ল্যাক মানি হোয়াইট সেরকম পরিমাণে তো হয়নি, কস্ট বেনিফিট অ্যানালাইসিস করলে লস আমাদের হয়েছে। কারণ দেশের যে রেপুটেশনের রিস্কটা হয়েছে, যে আমাদের অ্যাকাউন্টিং চর্চা এবং বিজনেস প্রাক্টিস আর নট ট্রান্সপারেন্ট অ্যান্ড আর নট ফেয়ার। এমসিসিআইর পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপটা আমরা কিছুতেই সমর্থন করতে পারি না
বিগত সপ্তাহে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সবগুলো সূচক পতনের পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে চার দশমিক ২৫ শতাংশ।কারণ গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দর অপরিবর্তিত ছিল এবং বাকি শেয়ারের মধ্যে অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন হয় যে কারণে মোট লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে বাজার মূলধন কমেছে 0.06 শতাংশ। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক সামান্য বাড়লেও দু’দিন কমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমে তিন হাজার ৯৬০ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক এক দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৯১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএস৩০ সূচক ছয় দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে এক হাজার ৩২৫ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮৫ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৭টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৭০ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৬০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে তিন কোটি ৮০ হাজার টাকা বা চার দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ২৭১ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকা অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে ১৫ কোটি চার লাখ টাকা বা চার দশমিক ২৫ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ বা ১৭৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে তেল ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৬৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেযারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার ইউনিট।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান: স্কিম। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে চার দশমিক ৮৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৯৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। তেল ও জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে চার দশমিক ২০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন তিন কোটি ৪৯ লাখ ১১ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৮ লাখ সাত হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে দুই দশমিক ৯৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন আট লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪২ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংক খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে দুই দশমিক ১০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে এক দশমিক ৩০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন দুই লাখ ৯১ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার।
তালিকার নবম ও দশম স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড।
ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এবং রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড।
অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২৪টির দর।
সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ২৬ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে তবে সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেড়েছে।
পুঁজিবাজারকে গতিশীল করা বিএসইসির একার দায়িত্ব নয়
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনে গতিশীল করা জরুরি। তবে এটি শুধু বিএসইসির একার দায়িত্ব নয়। এখানে অনেকগুলো পক্ষ আছে, তাদেরকেও নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকেই বিএসইসির দিকে আঙ্গুল তুলে। কিন্তু বিএসইসি শুধুই রেগুলেটর। আমাদের প্রধান কাজ আইন-কানুন প্রণয়ন করা। আইনে দেওয়া এখতিয়ারের মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য শুনি, কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করি, বাজারের কল্যাণে আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেটিও করা হয়। কিন্তু বিএসইসি বাজারে বিনিয়োগ বা কৃত্রিমভাবে শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারে না। এটি সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষগুলোর কাজ।
আজ শনিবার (২০ জুন) সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড আয়োজিত পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারসহ সংশ্লিষ্ট খাতে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য প্রভাব বিষয়ক এক ওয়েবিনারে (ওয়েব সেমিনার) তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেবেন বেসরকারি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক মঈনউদ্দীন এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন।
ওয়েবিনারে বিএসইসি চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারী, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারহাউজ ও অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বিএসইসিসহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আস্থা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি শেয়ারহোল্ডারদেরকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের ব্যবসাকে সহজ করা, তথ্য প্রযুক্তির সক্ষমতা বাড়িয়ে পেপারলেস রিপোর্টিং এবং বিভিন্ন বিষয় অনুমোদন বা সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা কমিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এমনকি বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেটি করতেও আপত্তি নেই। কিন্তু বাজারে লেনদেনের বিষয়ে কিছু করার সুযোগ আমাদের খুবই কম।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত কিছু ইস্যু মিস হয়ে গেছে। কিছু প্রস্তাবনা আছে যেগুলো পুঁজিবাজারের জন্য অনুকূল নয়। যেমন পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছরের লক-ইন আরোপ, তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, জিরো কূপন বন্ডের কর সুবিধা তুলে নেওয়া। এছাড়া পুঁজিবাজারের স্বার্থে মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো, ব্রোকারহাউজের লেনদেনে উৎসে কর কমানোসহ আরও কিছু বিষয় বাজেটে বিবেচনা করলে ভালো হতো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাকে বিষয়গুলো বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। এনবিআর চেয়ারম্যানকে তিনি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন, শুধু কয়েকটি কোম্পানির কাছ থেকে কর আদায়ের চেষ্টা না করে পরিধি বাড়াতে। চাপের মাধ্যমে করের পরিমাণ খুব বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়, বরং কর কমিয়ে ব্যবসার সহজ পরিবেশ তৈরি করে দিলে যখন ব্যবসা বাড়বে, তখন স্বয়ংক্রিভাবে সরকারের রাজস্বও বাড়বে। আর এটিই হবে সবচেয়ে টেকসই।
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক মঈনউদ্দীন বাজারে ই্উনিলিভারসহ স্থানীয় ভাল ভাল কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরেন তিনি। ব্যাংক থেকে বর্তমানে কম সুদে ঋণ পাওয়া, তালিকাভুক্ত হলে নানা ধরনের কমপ্লায়েন্সের মধ্যে আসা ইত্যাদি কারণে কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। এসব সমস্যা কাটিয়ে কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিএসইসিকে এসব কোম্পানি বাজারে আনার একটি উপায় খুঁজতেই হবে।
তিনি বিগত সময়ে আইপিওতে আসা বিভিন্ন কোম্পানির মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।
সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন বন্ড মার্কেট বিকাশের গুরুত্ব ও কিছু সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জিরো কুপন বন্ডে কর সুবিধা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই ধরনের ব্যবস্থা বন্ড মার্কেটের বিকাশকে ব্যাহত করবে।
ট্রেজারি বন্ডগুলো শুধু ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হচ্ছে কেন সে প্রশ্ন রাখেন তিনি?
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আগামী দিনে যাতে বাজারে আর কোনো মন্দ আইপিও না আসতে পারে সে বিষয়ে কাজ করছে বিএসইসি। আইপিও অনুমোদনের আগে সব ডকুমেন্টস ভালভাবে পরীক্ষা করা হবে, কোম্পানি পরিদর্শন করা হবে।এছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও এফআরসি’র সহায়তা নেবে।
আগামী দিনে তিন ধরনের ব্যালান্সশিট বানিয়ে তিন জায়গায় দিয়ে কারোরই হিসাব কারসাজি করে বাজারে আসার সুযোগ থাকবে না।
বাংলাদেশকে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বাংলাদেশকে ৮ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা (১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। তিন প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক ঋণ দাতা সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৯ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এই ঋণ অনুমোদন দেয়। আজ শনিবার (২০ জুন) বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি টেম্বন বলেন, ‘করোনায় সৃষ্ট অপ্রত্যাশিত সংকটের জন্য এত অর্থ বরাদ্দ করা হলো। কারণ করোনা বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষকে বিপদগ্রস্ত করেছে। তিন প্রকল্পে এই অর্থায়ন মানুষকে সহযোগিতা করবে এবং বিনিয়োগ ও অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অর্থনীতি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।’
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল এন্টারপ্রিনিউরশিপ (প্রাইড) প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা হবে। এতে দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ সফটওয়্যার পার্কে এবং ২০ শতাংশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে।
এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পে খরচ করা হবে ২৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে ১ লাখ লোকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে, বিশেষ করে নারীদের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে।
সেকেন্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট খাতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হবে। যা করোনা মোকাবিলা, অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং অরক্ষিত মানুষকে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে রবি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা রবি আজিয়াটা লিমিটেড বন্ড ইস্যু সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। কোম্পানিটি শরীয়াহ ভিত্তিক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য মতে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) শর্তের কারণে বন্ড ইস্যু করতে পারছে না রবি। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা। ইত্যোমধ্যে কোম্পানিটিকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেছে বিএসইসি।
সূত্রে আরো জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী বিটিআরসি থেকে বন্ড ইস্যু করার জন্য রবির অনুমোদন নিতে হয়। অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হলে বিভিন্ন জটিলকার কারণে সেখানে দীর্ঘ সময় লেগেছে। অন্যিদকে অনুমোদন দেওয়ার পরও সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের শর্ত জুড়ে দেয় বিটিআরসি। ফলে এই শর্তে রাজি হয়নি বিনিয়োগকারীরা। এই জন্য কোম্পানিটি বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে।
সূত্র জানায়, বন্ড ইস্যু করার পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেটি রাখতে হয়। কিন্ত বিটিআরসি বলছে, যে কোন সময় বন্ড প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলে তা পালন করতে হবে। এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি কোম্পানিটি। তাই কোম্পানিটি বন্ড ইস্যু বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার দশ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫২ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই শেয়ারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫২৩ কোটি টাকা তুলবে রবি। আর দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি রবির পরিচালক ও কর্মীদের জন্যও কোম্পানির শেয়ার মালিক হওয়ার সুযোগ করে দেবে এই আইপিও।
রবির ইস্যু-ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে দেশের অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। দেশে রবির সেবাগ্রহীতার সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৭৩ লাখ, যা দেশের মোট গ্রাহক সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। মালয়েশিয়ার কোম্পানি আজিয়াটা রবির ৬৮.৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
এজিএমের জরিমানা মওকুফ আর মাসে মাসে শেয়ারহোল্ডারদের অবস্থান জানাতে হবে না-বিএসইসি
পুঁজিবাজারকে একটি আইটি বেস প্লাটফর্মে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এবারই প্রথম ভার্চুয়ালে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার কারণে এই এজিএম করতে কোনো ভুলত্রুটি হলে তার জন্য ছাড় দেয়া হবে। এবার কাউকে এজিএমের ভুলত্রুটির জন্য জরিমানা করা হবে না।
এছাড়া একই সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে আর মাসে মাসে শেয়ারহোল্ডারদের অবস্থান বিএসইসিকে জানাতে হবে না। চার মাস বা ছয় মাস পর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ সংক্রান্ত সামারি সংগ্রহ করা হবে।
শুক্রবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের সরকার চাচ্ছে পুঁজিবাজারকে একটি আইটি বেস প্লাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি জয়েন করার পরেই সবকিছু খেয়াল করেছি। আমাদের এখানে অল্প এক্সপার্ট লোক আছে। আইটি রুমেও আমি খুব একটা সেটিসফাইড না।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের টোটাল মার্কেটটাকে আইটি প্লাটফর্মে নিয়ে যাব। এটাই আমাদের প্ল্যান। এর জন্য আমরা এমন কোয়ালিটির লোক খুঁজছি, যাকে আমরা ভালো বেতন দিয়ে নিয়ে আসব। যার আন্তর্জাতিক কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এবং আমাদের পুরো মার্কেটটাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে।
এ সময় ডিএসইর প্রতি কিছুটা বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, আমি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি ডিএসইর আইটি প্ল্যাটফর্ম কেনো এখনো ইমপ্লিমেন্টেশন (বাস্তবায়ন) হয়নি। কোথায় সমস্যা? কেন দেরি হচ্ছে? এটা নিয়ে আমি বারবার কথা বলেছি। এমনকি ডিএসইর বোর্ডের সবার সঙ্গে কথা বলেছি।
‘কেনো মানুষ এখনো অ্যাপ দিয়ে পার্টিসিপেন্ট করতে পারে না, ট্রেড করতে পারে না? ওএমএস সিস্টেমটা কেনো এখনো ব্রোকারদের কাছে ঠিকমতো ডিস্ট্রিবিউট হয়নি? কেনো আমাদের ডিজিটাল আউটলেটগুলো দেশের রিমোট এলাকায় চলে যায়নি? আমাদের দেশের সব কর্নার থেকে মানুষ এখনো কেনো ট্রেড করতে পারে না? এগুলা আসলে অনেক আগে হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমার সঙ্গে যারা কাজ করছেন তাদেরকে খুব চাপের মধ্যে রাখছি’ বলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, দেশের আইন বা দেশের কাউকে বিপদে না ফেলে, ঝামেলায় না ফেলে এমন কিছু করলে আপনাদের (কোম্পানির) কাজ করাটা সহজ হয়, আমাদেরকে ই-মেইল করে জানালেই হবে। আমরা পর্যালোচনা করে দেখব যদি কারো কোনো সমস্যা না হয় আমরা সেই সুবিধা দিয়ে দেব।
ভার্চুয়ালে এজিএম করার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা ভার্চুয়ালে এজিএম করার সুযোগ দিয়েছি। এটা সবসময় করা যায় কিনা আমরা আলোচনা করে দেখছি। আমরা প্রত্যেকটা এজিএমের টেপ রেকর্ডার চেয়েছি। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। যদি দেখি তেমন কোনো সমস্যা নেই, ৫-৬ জনকে নিয়ে দুষ্টুমি করার প্রবণতা না থাকে, তাহলে হয়তো আমরা কন্টিনিউ করতে পারি।
বন্ড মার্কেটে উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্ড যদি শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় তাহলে একদিকে লেনদেনের ভলিউম বাড়বে, অন্যদিকে মার্কেটের গভীরতা বাড়বে।
তিনি বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের পজিশন, তাদের সিআইবি পজিশন মাসে একবার করে আমাদের কাছে পাঠাতে হয়, প্রচুর পেপার। এটা পরিবর্তন করে দেয়া হচ্ছে। আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে একটা সামারি নেব। চার মাস বা ছয় মাস পর পর আমরা এটা নেব। মাসে মাসে আমাদের কাছে পাঠানোর এখন আর দরকার হবে না। এতে আপনাদের (কোম্পানির) অনেক পেপার ওয়ার্ক কমে যাবে।
এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ’র পক্ষ থেকে একজন বলেন, এবারই প্রথম ভার্চুয়ালে এজিএম করাই কিছু ভুলত্রুটি হতে পারে। তাই এবার বিষয়টা একটু কনসিডার করা উচিত।
এর প্রেক্ষিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, এবার আমরা বিষয়টি বিবেচনা করব। এবার কাউকে জরিমানা করা হবে না।
লোকসানে নিমজ্জিত বেক্সিমকো সিনথেটিক
আগের সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করলেও গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে লোকসানে নিমজ্জিত বেক্সিমকো সিনথেটিক। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে বেক্সিমকো সিনথেটিকের।
গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা।
এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হযেছে মাত্র ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের এমন অনাগ্রহ দেখা দিলেও আগের সপ্তাহে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখা দেয়। ফলে ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটিও দখল করে পঁচা বা জেড গ্রুপের এই কোম্পানিটি। শুধু গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে নয় তার আগেও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ে।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে পুঁজিবাজার। দীর্ঘ বন্ধের পর গত ৩১ মে থেকে পুঁজিবাজারে আবার লেনদেন শুরু হয়ছে। দীর্ঘ বিরতির পর এ লেনদেন শুরুর দিন থেকেই বেক্সিমকো সিনথেটিকের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে।
গত ৩১ মে কোম্পানির শেয়ার দাম ছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে টানা বেড়ে ৪ মে ৪ টাকা ৯০ পয়সা হয়। পরের সপ্তাহে আরও বেড়ে ১১ মে ৫ টাকা ৯০ পয়সা হয়। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের টানা উত্থানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬৯ শতাংশ।
করোনা সংকটের মধ্যে হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও বছরের পর বছর ধরে কোম্পানি লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে ২০১২ সালের পর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে শেয়ারবাজারে ‘জেড’ গ্রুপ বা পচা কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেক্সিমকো সিনথেটিক।
দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত লোকসানে নিমজ্জিত কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনেও বড় ধরনের লোকসানের চিত্র উঠে এসেছে। ডিএসইর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা।
বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, এসিআই ফরমুলেশনের ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, বেক্সিমকোর ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, আনলিমা ইয়ান ডাইংয়ের ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং দেশ গার্মেন্টেস’র ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম কমেছে।
ব্যাংকের মূল ম্যানেজমেন্ট গভর্নেন্স- এবিবি
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের মূল সমস্যা সুশাসন বা গভর্নেন্স বলে অভিহিত করেছেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র চেয়ারম্যান এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিমত দেন তিন যুগেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ব্যাংকার।
শুক্রবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রেজা ইফতেখার বলেন, আমি প্রায় ৩৭ বছর ধরে ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে আছি এবং ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পালন করছি।
‘আমাদের বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করা হয়েছে বাংলাদেশে ব্যাংকের প্রধান সমস্যা কী। অনেকে অনেক কিছু বলেন। বিরাট বিরাট স্লাইড দেখান, অনেক কারণ বলেন। আমার কাছে বিগেস্ট ইস্যু হচ্ছে গভর্নেন্স এবং নন পারফর্মিং লোন।’
তিনি বলেন, গভর্নেন্স শুধু বোর্ডের বিষয় নয়। গভর্নেন্স বলতে ম্যানেজমেন্ট গভর্নেন্স দরকার আছে। ডিরেক্টরদের গভর্নেন্স দরকার আছে। রেগুলেটর গভর্নেন্স দরকার আছে। এই গভর্নেন্সের কারণেই আজকে ব্যাংকে এনপিএল (খেলাপি ঋণ) অনেক হাই।
অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার বলেন, অনেকে অনেক টেকনিক্যাল টার্মস বলেন। সিলেকশন অফ রঙ বরুয়ার (ভুল ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন), প্রসেস ভালো না, ম্যানেজমেন্ট স্কিল নেই, রিক্স ম্যানেজমেন্টের লোক কম, কালেকশন ভালো না এমন অনেক কথা বলেন। আসলে এগুলো অনেক পরে আসছে। আমাদের প্রথমেই করপোরেট গভর্নেন্স বা ম্যানেজমেন্ট গভর্নেন্স যেটাই বলেন ঠিক করতে হবে। এটা ঠিক থাকলে ব্যাংকের এনপিএল আরও কমে যাবে।
তিনি বলেন, গভর্নেন্স ও এনপিএল এই দুটা হলো ব্যাংকের বিগেস্ট চ্যালেঞ্জ। এর একটা রিজেন্ট, আরেকটা হলো রেজাল্ট। রিজেন্ট হচ্ছে গভর্নেন্স, আর রেজাল্ট হচ্ছে এনপিএল। যদিও রেজাল্ট খুব একটা ভালো নয়।
আলী রেজা ইফতেখার আরও বলেন, আমরা এখন বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভার্চুয়ালে করতে পারব, এটা অনেক ভালো হয়েছে। এতে ব্যাংকের ট্রান্সপারেন্সি অনেক বেটার হবে, প্রচুর লোক দেশ-বিদেশ থেকে জয়েন করতে পারবে। আমাদের অনেক খরচ কম হবে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু সময় আমরা একটু অসুবিধার মধ্যে পড়ি। যেমন কিছু কিছু আইন বা কিছু সার্কুলার যা বাংলাদেশ ব্যাংক ইস্যু করেছে, সেটার সঙ্গে কোনো কোনো সময় বা কয়েকটা জায়গায় বিএসইসির সার্কুলার সাংঘর্ষিক।
ফলে কোনোরকম দোষ ছাড়াই অডিটর বড় রকম নেগেটিভ রিপোর্ট দেয় বলে জানান এই ব্যাংকার। এ কারণে এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
ব্যতিক্রমী চিত্রে শান্তা সিকিউরিটিজ
অবমূল্যায়িত পুঁজিবাজারেও অনেক ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কৃত্রিম বিক্রির চাপ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শান্তা সিকিউরিটিজ। এ হাউজটি থেকে নিয়মিত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারনে পুঁজিবাজারে যতটা পতন হওয়ার কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি তলানিতে চলে গেছে। এছাড়া বিশ্ব পুঁজিবাজার করোনাভাইরাস থেকে ঘুরেও দাড়িঁয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এখনো একটি চক্রের বিশাল বিক্রির চাপ রয়েছে। যা পুরো পুঁজিবাজারে আতঙ্ক তৈরী করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হতে পারছে না পুঁজিবাজার।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখন অনেক কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করার মতো অবস্থায় রয়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার যোগ্যতার তুলনায় অনেক নিচে অবস্থান করছে। যেখানে এই মুহূর্তে বিনয়োগ করে লাভবান হওয়া যাবে। হয়তো এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন কেউ কেউ। আর এটাই হলো বিনিয়োগকারীর যোগ্যতা।
গত ১০ কার্যদিবসের (৭-১৮ জুন) মধ্যে ৮ কার্যদিবসই শেয়ার ক্রয়ে শীর্ষ দশে ছিল শান্তা সিকিউরিটিজ। এরমধ্যে ৩ কার্যদিবস নিট বিনিয়োগে শীর্ষে ছিল। ওই ৮ কার্যদিবসে হাউজটি (ডিলার ও গ্রাহক হিসাব) থেকে নিট ২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
শান্তা সিকিউরিটিজ থেকে ওই ৮ কার্যদিবসে বিক্রির পরিমাণ ছিল ক্রয়ের তুলনায় মাত্র ৯.৯৩ শতাংশ। ওইসময় হাউজটি থেকে ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা হয়েছে। এর বিপরীতে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমন কিছু খাত আছে, যেখানে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েনি। বরং ব্যবসায় আরও উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে ওষুধ খাত রয়েছে এ তালিকায়। তারপরেও বিনিয়োগকারীরা কোন কিছু চিন্তাভাবনা না করেই আতঙ্কিত হয়ে অন্যসব খাতের ন্যায় ওষুধ খাতের শেয়ারেও বিক্রির চাপ অব্যাহত রেখেছে।
নিম্নে শেষ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ক্রয় ও বিনিয়োগে ৮ কার্যদিবস শীর্ষ দশে অবস্থান করে নেওয়া
Our Facebook page- https://www.facebook.com/habsl.net/
Daily Morning News 18.06.2020
বাজেটে ৬ দাবি ডিএসই’র
আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট যুগান্তকারী, অভূতপূর্ব, ব্যবসাবান্ধব ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে হয়েছে বলে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি জানিয়েছিল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তবে কয়েকদিন না যেতেই হতাশা থেকে চূড়ান্ত বাজেটে ৬ দাবি করেছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।
বাজেট ঘোষণার দিন ডিএসইর চেয়ারম্যান ও সাবেক আমলা ইউনুসুর রহমান সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এরমাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির সমন্বয় হয়েছে। এজন্য ডিএসই অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শিল্পায়নের জন্য ব্যাংক নির্ভরতা কমানো, বাজেটে অপ্রর্দশিত টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগসহ বিভিন্ন প্রণোদনার জন্য ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে। আর সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজার আরো গতিশীল হবে বলে ডিএসই আশা প্রকাশ করে৷
বাজেট পুঁজিবাজারের জন্য এতো ভালো দাবি করে প্রতিক্রিয়া জানানোর পরেও হতাশা থেকে ৫দিনের ব্যবধানে ৬টি প্রস্তাব করেছে ডিএসই। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে (বিএসইসি) দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করে। একইসঙ্গে কমিশনকে দাবিগুলো বাস্তবায়নে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করে।
বিএসইসিতে দাবিগুলোর মধ্যে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণভাবে লকইন ফ্রি এবং কর হার ৫ শতাংশ করা জরুরী বলে জানায়। অন্যথায় ১০ শতাংশ কর দিয়ে ব্যাংকের এফডিআর বা সঞ্চয়পত্রে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পেলে কোন বিনিয়োগকারী শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবে বলে মনে করে না স্টক এক্সচেঞ্জটি।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে- ব্রোকার হাউজগুলোকে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর ০.০৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.০১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা,
তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা, দুই মাসের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ ও চলতি অর্থবছরের সিডিবিএল বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষনাবেক্ষণ ফি মওকুফের দাবী জানিয়েছে ডিএসই।
প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পনির কর পাঁচ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)
বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।
বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার মিজানুর রহমানও যোগ দিয়েছিলেন।
আসিফ ইব্রাহিম বলেন, “আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার অনুরোধ করছি। এতে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে, যা পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে এবং স্বচ্ছ কর্পোরেট রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।”
নতুন বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, “করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা শিরোনামে যে বাজেট অর্থমন্ত্রী মহোদয় অত্যন্ত প্রজ্ঞা এবং সাহসের সাথে উপস্থাপন করেছেন তার জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি কোনো শর্ত ছাড়া কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
লকডাউনে নতুন সূচিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন হবে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুই বাজারেই বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হবে। আর লেনদেন শেষ হবে দুপুর ১টায়।
বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং সেবার সময় পরিবর্তনের কারণে বুধবার ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসইর জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, ডিএসইতে লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হবে। আর লেনদেন শেষ হবে দুপুর ১টায়।
অপরদিকে, সিএসইর এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং সেবার সময় পরিবর্তনের কারণে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, আগামীকাল ১৮ জুন লেনদেনের সময় হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এই সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মোবাইল ও অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
শেয়ারনিউজ; ১৭ জুন ২০২০
ব্যাংকের সিএসআর অর্থ ব্যয়ে নতুন নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) অর্থ ব্যয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এ নির্দেশনা সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের জনস্বাস্থ্যে উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় সিএসআর ব্যয় বণ্টনে স্বাস্থ্যখাতে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। এতে মোট সিএসআর ব্যয়ের ৬০ শতাংশই স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাখাতে ৩০ শতাংশ এবং জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল খাতে ১০ শতাংশ ব্যয় করার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সিএসআরএর আওতায় স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের অর্থ চিকিৎসা উপকরণ ও সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতেও বলা হয়।
আরও বলা হয়েছে সিএসআর কর্মকাণ্ডের আওতায় স্বাস্থ্যখাতে নিয়মিত কার্যক্রমও চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর চিকিৎসায় অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী (পিসিআর, ভেন্টিলেটর মেশিন ও অক্সিজেন সিলিন্ডার) ক্রয় এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ সবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এ সহযোগিতার আওতা জেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
শেয়ারনিউজ; ১৭ জুন ২০২০
জনজীবন সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখবে প্রস্তাবিত বাজেট
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জনজীবন সুরক্ষা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক চাকা সচল করবে বলে অভিমত দিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার কর ব্যবধান কমানোয় ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো নিরুৎসাহিত হবে বলে অভিমত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার কমানোর দাবি জানিয়েছে সিএসই। সেই সঙ্গে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে তা তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে “দেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা” শিরোনামে যে বাজেট অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত প্রজ্ঞা ও সাহসের সাথে উপস্থাপন করেছেন তার জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই বাজেট জনজীবন সুরক্ষা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক চাকা সচল করবে বলে আমরা আশা করছি। সার্বিক পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অনেকগুলো বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে এই বাজেটে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও সুদক্ষ পরিচালনায় কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা কাটিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করার যে রূপকল্প সরকারের রয়েছে তাতে ব্যাপকভাবে বেসরকারি পুঁজি সঞ্চালনের প্রয়োজন। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শুধুমাত্র ব্যাংকঋণ নির্ভর বেসরকারি বিনিয়োগ ও পুঁজি সঞ্চালন একদিকে যেমন ব্যাংক ব্যবস্থার দুর্বলতা তৈরি করে অন্যদিকে পুঁজিবাজারের বিকাশেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
এই প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে টেকসই উন্নয়ন ও গুণগত সম্প্রসারণের জন্য ব্যাপক কৌশল প্রণয়ন প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ অনেকগুলো প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিকট উপস্থাপন করে। সিএসইর প্রস্তাবনার বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সিএসইর দাবি ও দাবির পক্ষে যুক্তি
>> আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার কর ব্যবধান বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যবধান কমানোর কারণে ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো আরও নিরুৎসাহিত হবে বলে আমরা মনে করছি। আমরা অতালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ করছি। এতে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। যা পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে এবং স্বচ্ছ কর্পোরেট রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।
>> বাজেটে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে পুঁজিবাজারে তিন বছরের জন্য এ অর্থ বিনিয়োগ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না । এ বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে ন্যূনতম তিন বছরের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার না করার শর্তটি তুলে দেয়ার জন্য আমরা অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যা ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আরও উৎসাহিত করবে।
>> দেশের বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বন্ডের সুদ ও বাট্টার ওপর উৎসে কর এবং লেনদেন মূল্যের ওপর উৎসে কর সমন্বয়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যা পুঁজিবাজারে বন্ডের লেনদেন বাড়াবে বলে আমরা মনে করছি। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট বিকাশিত হলে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বড় প্রকল্পে অর্থায়নের নতুন ক্ষেত্র ও সুযোগ তৈরি হবে বলে আমরা আশা করছি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের কাছে বন্ড মার্কেটকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য অর্থমন্ত্রী বন্ডের সুদ ও বাট্টা পরিশোধের সময় উৎসে কর কর্তনের বিধান রহিত করে সুদ ও বাট্টা পরিশোধ করার সময় উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করেছেন। তাছাড়া বন্ড লেনদেনের জন্য বর্তমান বিধান অনুসারে লেনদেন মূল্যের ওপর উৎসে কর কর্তনের পরিবর্তে লেনদেনের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত কমিশনের ওপর উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বন্ড মার্কেটের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে বলে আমরা আশা করছি।
>> আগামী অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। আবার কর আদায়ে বাড়তি কিছু উদ্যোগ ও নিয়েছেন। বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। আবার করহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে সর্বনিম্ন করহার ছিল ১০ শতাংশ। এবার করহার ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। তাছাড়া করহার ও পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করবে বলে আমরা মনে করি।
এছাড়া কোনো করদাতা অনলাইনে বার্ষিক রিটার্ন জমা দিলে দুই হাজার টাকা করছাড় পাবেন । যা ওই করদাতা একবারই পাবেন। এতে করদাতারা ঘরে বসেই অনলাইন রিটার্ন দিতে উৎসাহিত হবেন।
>> নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় তিন বছর করমুক্ত রাখা হলে অতালিকাভুক্ত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে পুঁজিবাজারে গুণগত ও মানসম্পন্ন শেয়ারের জোগান বাড়বে যা বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে ভূমিকা পালন করবে।
>> এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সম্পাদিত ঋণচুক্তি হিসেবে প্রণীত ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছি। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সরকারও আমাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
বর্তমানে সিএসই ক্রমহ্রাসমান হারে আয়কর প্রদান করে, যা এই অর্থবছরে শেষ হবে। এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন-২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের শতকরা পঁচিশ ভাগ কৌশলগত বিনিয়োগকারীর নিকট বিক্রয় করতে হবে। সিএসই এখনও আইন অনুযায়ী কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করতে পারেনি। কৌশলগত বিনিয়োগকারীর নিকট শেয়ার বিক্রয়ের জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যহতির সুবিধা দেয়া হলে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেতে সহায়ক হবে এবং একই সাথে তুলনামূলক ছোট এক্সচেঞ্জ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারে যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।
>> স্টক ব্রোকারদের উৎসে কর কর্তনের হার পুনঃনির্ধারণের জন্য বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও এই হার পূর্ববর্তী ০.০৫ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে। অধিকাংশ ব্রোকার হাউজ বর্তমানে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তিত হওয়া সত্ত্বেও এসব ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে বর্ধমান হারে কর আদায় আয়করের মৌলিক নীতিরও পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্টক ব্রোকারদের উৎসে কর কর্তনের হার ২০০৬ সালে চালু করা হারে অর্থাৎ ০.০১৫ শতাংশে পুনঃনির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
>> প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমানে মূলধনি লাভের ওপর করহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা।
শেয়ারনিউজ; ১৭ জুন ২০২০
Daily Morning News 17-06-2020
পুঁজিবাজারে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেনে ব্রোকারদের ভূমিকা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনে উদ্বুদ্ধ করতে ব্রোকারদের ভূমিকা নিয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমী। কর্মশালায় ৪টি সেশনে ব্রোকারেজ হাউজের ৪০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
১৪ ও ১৫ জুন দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার। কর্মশালায় সেশন পরিচালন করেন বিএসইসির পরিচালক মো. রেজাউল করিম ও ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমির ইনচার্জ মুহাম্মদ রনি ইসলাম।
কর্মশালার উদ্বোধনকালে ডিএসইর সিওও এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ে বিনিয়োগকারীদের অনলাইনে লেনদেনের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। একই সাথে এ সময় কমপ্লায়েন্সগুলোও সঠিকভাবে পালন করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। অনলাইন লেনদেন বিনিয়োগকারীদের নিকট জনপ্রিয় করতে এ সময় প্রত্যেক ব্রোকারেজ হাউজকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
বাজেটে ৬ দাবি পুনর্বিবেচনার আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে উন্নয়ন ও<